এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ইমিগ্রেশনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, রাত ১১টার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে অবতরণ করে তিন ঘণ্টা বিমানটি রানওয়েতে ছিল। রাত ২টার দিকে আরোহীদের হাতকড়া ও শেকল খুলে দেওয়া হয়। পরে তাদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল এরিয়ায় নেওয়া হয়। কাউকে কোনো ধরনের ছবিও তুলতে দেওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ টিম, কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ টিম এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি পৌঁছানোর জন্য অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় গত কয়েক মাসে অন্তত ১৮০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আসার তথ্য জানা গেছে।
অভিবাসীদের এভাবে হাতকড়া বা শেকল পরিয়ে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে মানুষ অভিবাসী হতে চাইবেন, এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে প্রত্যাবাসন করলে মানবিক দিকগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখবে।
মার্কিন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। যাদরকে ফেরত সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এসব বাংলাদেশি মেক্সিকোসহ ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হয়ে বাংলাদেশি দালালদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। বাংলাদেশিরা জনপ্রতি ৩০ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত দালালদের পেছনে খরচ করে তারা।
প্রথম দিকে হাতকড়া ও শেকল পরানো না হলেও গত ২ আগস্ট একটি সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজ সি-১৭-এ করে নারীসহ যে ৩৯ বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়, তাদের সবার হাতকড়া ও শেকল ছিল। গতকালও সবার হাতে হাতকড়া ও শেকল পরানো ছিল।
এই দৃশ্য তখন দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এভাবে শিকল পরানোয় মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে তখন। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে আলোচনাও হয়েছিল।